শেখ রাসেলের জন্মদিন উদযাপন, মালয়েশিয়া

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন পালন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো ‘শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক’।

মঙ্গবার স্থানীয় সময় (১৮ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ ও দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিয়ে শহীদ শেখ রাসেলের অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান,

মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার গোলাম সারোয়ার।

আলোচনা সভার শুরুতে শেখ রাসেল, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল সদস্যদের জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন দূতাবাসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মামুন মিয়া।

পরে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সিলর (রাজনৈতিক) ফারহানা আহমেদ চৌধুরী এবং দূতাবাসের প্রথম সচিব (পাসপোর্ট) মিয়া মোহাম্মদ কিয়াম উদ্দিন। এরপর শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে নির্মিত বিশেষ একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর শিশু কিশোরদের অংশ গ্রহণে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে হাইকমিশনার মো. গোলাম সরোয়ার শুরুতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, ১১ বছরের ছোট্ট নিষ্পাপ শিশু রাসেলের আকুতিও নরপশুদের মন গলাতে পারেনি। মাত্র ১০ বছর ৯ মাস ২৭ দিন বয়সে এই প্রতিভাবান শিশুর জীবনপ্রদীপ নিভে যায়। খুনিরা শিশু রাসেলকে হত্যা করলেও তার স্মৃতি ও চেতনা হত্যা করতে পারেনি। আজকে শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে হয়তো বা প্রধানমন্ত্রীর যে দেশ গড়ার মিশন সেই মিশনের তিনিও একজন সহযোগী থাকতেন। কিন্তু ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সাথে ঘাতকরা সেই ছোট রাসেলকেও শেষ করে দিয়েছে। আজকের এইদিনে তার বিদেহী আত্নার মাগফেরাত কামনা করছি।

হাইকমিশনের কাউন্সিলর (রাজনৈতিক) ও দূতালয়প্রধান রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ এ খাস্তগীর, মিনিষ্টার (লেবার) নাজমুস সাদাত সেলিম, প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা কমডোর মোস্তাক আহমেদ, কাউন্সিলর কন্স্যুলার জি এম রাসেল রানা, প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) প্রণব কুমার ঘোষ, প্রথম সচিব (শ্রম) এএসএম জাহিদুর রহমানসহ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।